কল্পনাপ্রসূত ঘটনা ঘটেছে যখন আরএমএস টাইটানিক 15 এপ্রিল, 1912 এ উত্তর আটলান্টিকের ডুবে গেছে uns অবিস্মরণীয় বলে মনে করা জাহাজটি অনেক আশা এবং স্বপ্ন নিয়ে তীরে প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৪ ই এপ্রিল রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে যখন বিশ্বের বৃহত্তম এই জাহাজটি একটি আইসবার্গে ধাক্কা মারে, তখন এটি সামুদ্রিক ইতিহাসে অতুলনীয় একটি বিপর্যয়ের দিকে পরিচালিত করে।
টাইটানিকের ডুবে যাওয়া মুভিটিকে একই নাম দিয়ে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে যেখানে বিপর্যয় চিরতরে তাদের আলাদা করার আগে জ্যাক এবং রোজের ঝাপসা রোম্যান্স রয়েছে। সেই গল্পটির এখনও আকর্ষণ আছে। তবে আপনি কি জানেন যে তাদের নিজস্ব গল্প নিয়ে আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জাহাজে চড়েছিলেন যা সম্ভবত বিশ্ব জানে না? এখানে বিশ্বের সবচেয়ে অসচেতন জাহাজের কিছু গল্প রয়েছে যা এখনও বিস্ময় এবং কৌতূহলকে অনুপ্রাণিত করে।
1. জ্যাক ফিলিপস
টাইটানিকের বাড়ি
যেদিন জাহাজটি ডুবেছিল সেদিন সিনিয়র ওয়্যারলেস অপারেটর হিসাবে জ্যাক ফিলিপসের ভূমিকা প্রশংসার পাশাপাশি নেতিবাচক সমালোচিত হয়েছে। তিনি জাহাজে যাত্রীদের পাশাপাশি অন্য জাহাজের বার্তাগুলি ডিকোড করেছিলেন। ক্যাপ্টেনের কাছে আবহাওয়ার তথ্য রিলে করার জন্য তিনিও দায়বদ্ধ ছিলেন। ফিলিপস আগেই অন্য জাহাজের কাছ থেকে কিছুটা সতর্কবার্তা পেয়েছিল পথে পথে একটি আইসবার্গ সন্ধান করার জন্য। আসলে, কখন এসএস ক্যালিফোর্নিয়ান সতর্কবার্তাটি পৌঁছে দিয়ে ফিলিপস চিৎকার করে বলে উঠল, “চুপ কর! আমি কেপ রেস কাজে ব্যস্ত! ' যাত্রীর বার্তা হাজারে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং ফিলিপস এই ধারণাটির মধ্যে রয়ে গেল যে জুনিয়র ওয়্যারলেস অপারেটর হ্যারল্ড ব্রাইড ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেন স্মিথকে আইসবার্গের সতর্কতা জানিয়েছিল।
তবে তথ্যটি ক্যাপ্টেন স্মিথের কাছে পৌঁছায়নি। আরএমএসে ভুল ধারণা, ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল ধারণা তৈরির মধ্যস্থতা হিসাবে টাইটানিক , জাহাজটি দৈত্য আইসবার্গের সাথে সংঘর্ষ করেছিল যা তার ভাগ্য সিল করে। যাইহোক, ফিলিপস একবার ঘটেছে বুঝতে পেরে, তিনি নিকটবর্তী জাহাজগুলিতে দুর্দশার সংকেত প্রেরণের জন্য শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আক্ষরিক কাজ করেছিলেন। তার বার্তা কার্পাথিয়া (শেষ পর্যন্ত যে জাহাজটি উদ্ধার করতে এসেছিল) 705 জীবন বাঁচিয়েছিল। উদ্ধার জাহাজে সিগন্যাল পাঠানোর ঠিক আগেই সে রাতে তিনি মারা যান।
(উৎস: বিবিসি )
2. জেমস মুডি
টাইটানিক- টাইটানিক ডটকম
জেমস মুডি খুব বিনয়ী বেতনের একজন নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তা সত্ত্বেও, তিনি একের পর এক লাইফবোট চালু করে সর্বত্র বিপর্যয় জুড়ে ছিলেন। মুডি সত্যিকার অর্থে একজন নায়ক, কারণ তিনি যে লাইফবোটটি চালু করেছিলেন তার মধ্যে একটি মানুষকে যাত্রীদের সুরক্ষায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। যাইহোক, তিনি বোর্ডে থাকতে বেছে নিয়েছিলেন এবং অন্য এক কর্মকর্তাকে তীরে পৌঁছানোর সুযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি জাহাজে থাকার একমাত্র কারণ ছিল ব্যক্তিগতভাবে এটি দেখা যে সর্বাধিক জীবন বাঁচানো হয়েছিল। মুডি ষষ্ঠ অফিসার ছিলেন এবং তিনি প্রথম অফিসারকে সহায়তার জন্য ফিরে ছিলেন। তিনি জাহাজটি নামার ঠিক শেষ মুহূর্তের আগে, সকাল 2: 18 অবধি বেঁচে ছিলেন।
(উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া টাইটানিকা )
৩. রথসের কাউন্টারেস
বাসানো লিমিটেড, পিডি-মার্কিন
অন্যতম ধনী এবং সম্মানিত ভ্রমণকারী টাইটানিক রথসের কাউন্টারেস লুসি নোয়েল মার্থা ছিলেন। তিনি তার কাজিন এবং কাজের মেয়েকে নিয়ে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করছিলেন। জাহাজ ডুবে যাওয়ার খবর ক্যাপ্টেনের কাছে পৌঁছেই তিনি কাউন্টারকে সুরক্ষা বেল্টে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কাউন্টারেস এবং তার সঙ্গীদের সমুদ্রের মধ্যে প্রথম লাইফবোটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
লাইফবোট 8 এর নাবিক কাউন্টারকে চিনতে পেরেছিলেন এবং জানতেন যে তিনি একজন মহান নেতা হতে পারেন। তিনি তৎক্ষণাৎ রাতভর নৌকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। তিনি একটি স্পেনীয় স্ত্রীর সান্ত্বনা জানাতে তাঁর চাচাত ভাইয়ের সাথে জায়গাটি অদলবদল করেছিলেন, যার স্বামী পিছনে পড়ে গিয়েছিল। তিনি নৌকাকে কেবল সুরক্ষার দিকে চালিত করেননি, তবে নৌকায় যারা ছিলেন তাদেরও উত্সাহের কথা বলেছিলেন। তিনি কার্পাথিয়ায় ফিরে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের তদারকি করতে ফিরে এসেছিলেন। নাবিক এবং কাউন্টারটিস সেদিন তাদের স্মৃতিগুলিকে আঁকিয়েছিল এবং কাউন্টারটিস মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেছিল।
(উৎস: বিবিসি )
৪. দুই মামাতো ভাই
একটি কবর অনুসন্ধান করুন
15 ই এপ্রিল রাতে জাহাজে দু'জন দূরের চাচাতো ভাই ছিল এবং তাদের দু'জনই অপরটির সম্পর্কে অবগত ছিল না। তারা একই মহান-পিতামহকে ভাগ করে নেওয়ার সময়, উইলিয়াম এডভি রয়েরসন এবং আর্থার রয়েরসন অর্থনৈতিকভাবে পৃথক পৃথক ছিল। আর্থার ছিলেন প্রথম শ্রেণীর যাত্রী, তিনি স্ত্রী এবং তিন সন্তানের সাথে নিউইয়র্কের কুপারসটাউনে ভ্রমণ করেছিলেন। অন্যদিকে উইলিয়াম ছিলেন প্রথম শ্রেণির ডাইনিং সেলুনের একজন স্টুয়ার্ড।
উইলিয়াম লাইফবোট 9 পরিচালনা করেছিলেন এবং সুরক্ষায় পৌঁছেছিলেন। আর্থারের স্ত্রী, কন্যা এবং একটি পুত্র লাইফবোটে তৈরি করেছিলেন কারণ আর্থারকে জাহাজে থাকতে হয়েছিল। জাহাজটি নামার সাথে সাথে তিনি মারা গেলেন।
(উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া টাইটানিকা )
5. ফাদার ফ্রান্সিস ব্রাউন
সময়
আয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউনের (বর্তমানে কোভ নামে পরিচিত) জাহাজের চূড়ান্ত বন্দরে খুব তাড়াতাড়ি নেমে আসা ৮ জন যাত্রীর মধ্যে ফাদার ফ্রান্সিস ব্রাউন ছিলেন প্রথম শ্রেণির ভ্রমণকারী এবং একজন। পুরো যাত্রা না করেও, বাবা এখন জাহাজে উঠাকালীন যে সমস্ত ছবি তোলেন তার জন্য বিখ্যাত। তাঁর ছবিগুলি অভিনব জাহাজ জুড়ে ক্ষণিকের বিভিন্ন মেজাজ এবং রঙ প্রকাশ করেছে। তিনি ভ্রমণের সর্বোত্তম যাত্রা করেছিলেন এবং টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার দিন থেকেই ছবিগুলি বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হয়েছিল।
(উৎস: সময় )
6. টমাস মিলার
টাইটানিকের বাড়ি
যারা ব্রাডি গুচ্ছটিতে মার্শা খেলেছিল
তাঁর গল্পটি সম্ভবত সবচেয়ে হৃদয়গ্রাহী is মিলার সমুদ্রযাত্রার ঠিক তিন মাস আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পরে টাইটানিকের সহকারী ডেক ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর দুই পুত্র ছিল, যাকে তিনি খালার সাথে রেখে এসেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন তাঁর ছেলে টমাস এবং রুডিককে এক টাকা দিয়েছিলেন এবং সমুদ্রের ওপারে তাদের জন্য একটি নতুন জীবন প্রস্তুত করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে, টমাস বোর্ডে মারা গেলেন। তাঁর পুত্র থমাস তাদের পিতার অসীম ভালবাসার স্মারক হিসাবে সেই অর্থ উপার্জন করেছিলেন।
7. এডওয়ার্ড এবং এথেল বেন
এনসাইক্লোপিডিয়া টাইটানিকা
এই নবদম্পতি হ'ল অনেক যাত্রীর মধ্যে দু'জন যারা প্রথমে অস্বীকার করেছিলেন যে জাহাজটি ডুবেছে। টাইটানিকের জাহাজে পরিণত হওয়ার মহৎ প্রতিশ্রুতি যা কখনও ডুবে যায় না তা তাদের মনে ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং, তাদের ভুল ধারণাটি ঝেড়ে ফেলার জন্য বেশ কয়েকবার গুরুতর সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।
এই দম্পতি তাদের মধুচন্দ্রে ছিল যখন তাদের আলাদা হতে বাধ্য করা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে, যখন এথেলকে লাইফবোটে পাঠানো হয়েছিল, এডওয়ার্ড একটি উদ্ধারকারী নৌকায় পৌঁছে সুরক্ষার পথে সাঁতার কাটলেন। ভাগ্যক্রমে, তাদের বিবাহিত জীবন চলতে থাকে।
(উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া টাইটানিকা )
8. সমুদ্রের দুটি ওয়াইফ
কংগ্রেসের মার্কিন গ্রন্থাগার
বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা কারপাথিয়ায় যোগ দিচ্ছিলেন, হেল্টার স্কেলটারের মাঝে দু'জন অচেনা শিশু ঘুরে বেড়াচ্ছিল। একটি অ্যাকাউন্ট পরে প্রকাশিত হয়েছিল যেহেতু এই পুরুষদের একেবারে শেষ অবধি লাইফবোটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই এই দুটি ছোট ছেলে তাদের বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল, যে রাতে মারা গিয়েছিল।
পরে, সনাক্তকারীদের অনুরোধের অনুরোধে সংবাদপত্রগুলিতে যখন তাদের মুখগুলি ঝলমলে উঠল, ফ্রান্সের এক খাঁটি মা তাদের জন্য এগিয়ে এলেন। তার ছেলেরা তাদের বাবা অপহরণ করেছিল যারা তাদের নতুন জীবনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।
(উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া টাইটানিকা )
9. এডিথ রাসেল
র্যান্ডি ব্রায়ান বিঘাম
এডিথের দৃ strong় প্রবৃত্তি তাকে জানিয়েছিল যে খুব শীঘ্রই খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। তার সচিবকে লেখা একটি চিঠিতে, তিনি এমনকি নাড়াতে পারছেন না এমন পূর্বসূরির উদ্বেগের অনুভূতির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি প্যারিসের ইস্টার রবিবারের ঘোড়দৌড়ের রেসগুলিতে ফ্রেঞ্চ ফ্যাশনগুলি coveringাকানোর পরে ফ্রান্স থেকে জাহাজে উঠেছিলেন। তিনি কিছুটা বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন, তবে এডিথ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাহাজ থেকে নামতে চেয়েছিলেন।
তার উপদেশগুলি বিনা কারণে ছিল না। কেবিনটি ছেড়ে লাইফবোটের দিকে যাত্রা করতে বলা মাত্রই, তিনি একজন স্টিউয়ারকে তার ঘর থেকে তার শূকর আকৃতির সংগীতের বাক্স পেতে সহায়তা করার জন্য বললেন। প্রথম শ্রেণিতে থাকাকালীন তাকে নিরাপদ থাকার জন্য প্রথম লাইফবোট এবং সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তবে, তিনি অস্বীকার করেছেন এবং এই জাহাজের সমস্ত মহিলা এবং শিশু নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়বেন না। কিন্তু যখন কেউ ভুলবশত লাইফবোটে তার সংগীত বাক্সটি ছুঁড়ে ফেলেছিল, তখন তিনি তার অতিপ্রিয় সম্পত্তি থেকে আলাদা করতে চান না বলে সে তা পেতে বাধ্য হয়েছিল।
(উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া টাইটানিকা )
10. অ্যালেক্স ম্যাকেনজি
বিশৃঙ্খল
অ্যালেক্স সেই যাত্রাটি না করার জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন যার ফলে এত লোক মারা যায়। টাইটানিক আজীবন একবারের জন্য সুযোগ হিসাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। যারা যাত্রা শুরু করেছিল তাদের প্রতি লোকে enর্ষা করেছিল। তবে অ্যালেক্স নয়। তিনি প্রায়শই এতে প্রবেশ করেছিলেন, বারবার তাঁর মাথায় স্ফটিক স্বচ্ছ কণ্ঠস্বর উপেক্ষা করে তাকে যাত্রাটি না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন কারণ তিনি অবশ্যই এতে মারা যাবেন। শেষ অবধি, আলেকস বাইরে যাওয়ার আগে তার বাবা-মা কে তাকে উপস্থিত হিসাবে টিকিট উপহার দিয়েছিল তাদের কাছে একটি ব্যাখ্যা দিতে বাড়ি চলে গেল।
(উৎস: 30 জেমস স্ট্রিট )
ক্রেডিট: তালিকাভুক্ত